জেলা প্রতিনিধি ঃলালমোহন ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ঠিকাদার শাহাদাত হোসেন ওরফে শাহবুদ্দিন সাজুর দখল সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে তজুমুদ্দিন প্রেসক্লাব সভাপতি রফিক সাদী তার ফেসবুকে ২৬ মে একটি পোস্ট দিয়েছেন। যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
” প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশ্যে।
আমি আপনাদের সহকর্মী ভাই। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সকলের সহযোগিতা চাই।
আমি একজন টাকা ওয়ালা প্রভাবশালীর জুলুমের শিকার। আমার ২৫ বছরের সাংবাদিকতার জীবনের সব সময় নিজেকে নির্যাতিত মানুষের পাশে রাখার চেষ্টা করেছি। দুর্ভাগ্য আজ আমি নিজেই নির্যাতন ও জুলুমের শিকার হইতেছি। আমার মাথাগোঁজার একমাত্র আশ্রয়স্থলটুকুর একাংশ কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। ৮/১০ সীমানা পিলার ফেলে দিয়ে মাপজোপ করার অজুহাত সৃষ্টি করে আমাদের জমিটুকু খণ্ড-বিখণ্ড করার ষড়যন্ত্র করছে।
আর বলছে টাকা ছিটালে সাংবাদিক কিনা বা ম্যানেজ করে পক্ষে আনা কোন ব্যাপার নয়।
লালমোহনের সাংবাদিক ভাইদের কাছে বিনীত অনুরোধ টাকার কাছে বিক্রি হয়ে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। আমার পক্ষে নয়, সত্য ও মানবতার পক্ষে নীতিবান সকল সাংবাদিকের অবস্থান চাই। টাকার কাছে যেনো মানবতার পরাজয় না হয়।
ঘটনা…
লালমোহন পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডে হাসপাতাল সংলগ্ন উত্তর পাশে আমার ১২ শতক ও আমার শশুর আবুল কাশেম মেলেটারির কবরস্থান সহ কিছু জমিতে ২৫/৩০ বছর যাবত বাসা বাড়ি করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল করে আসছি।
প্রতিবেশী ৬ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি ও ঠিকাদার শাহাদাত হোসেন ওরফে শাহবুদ্দিন সাজু আমার দক্ষিণ পাশে মাজেদ গংদের কাছ থেকে সম্পতি জমি কিনে এবং বুঝ নেয়। একই সাথে তাদের আরো জমি রয়েছে। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার এবং মাজেদ গংদের মধ্যবর্তী ২৩ বছর আগের দেয়া সীমানা পিলার তুলে দিয়ে আমাদের জমিতে জোড়পূর্বক ঢোকে কলাগাছ বপন করে আমাকে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। করছে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অপচেষ্টা।
বর্তমানে জমি মাপার অজুহাতে শশুর এবং আমার পুরো জমির সীমানা উলট পালট করে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা র পাঁয়তারা করছে।
এমপি মহোদয় বলেছেন ঈদের পর বিষয়টি দেখবেন। করোনার কারণে কতটুকু সম্ভব হয় জানি না।
আমি চাই শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান।
মোঃ রফিক সাদী,
দৈনিক ইত্তেফাক, ডেইলি অবজারভার ও সভাপতি তজুমদ্দিন প্রেসক্লাব, ভোলা।